Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

এক নজরে জেলা

একনজরেজেলা

 

ভৌগলিক পরিচিতি

 ৪৪৭৯.০৩বর্গ কিঃমিঃ

 (অবস্থান, সীমানা ইত্যাদি)

জেলারপটভূমি

নামকরণের ইতিহাস

 

বান্দরবান জেলার নামকরণ নিয়ে একটি কিংবদন্তি রয়েছে। এলাকার বাসিন্দাদের প্রচলিত রূপ কথায়  আছে অত্র এলাকায়  একসময় বাস করত অসংখ্য বানর । আর এই বানরগুলো  শহরের প্রবেশ মুখে  ছড়ার  পাড়ে পাহাড়ে প্রতিনিয়ত লবণ  খেতে আসত। এক সময় অনবরত বৃষ্টির কারণে ছড়ার পানি বৃ্দ্ধি পাওয়ায় বানরের দল ছড়া পাড় হয়ে পাহাড়ে যেতে না পারায়  একে অপরকে ধরে ধরে সারিবদ্ধভাবে ছড়া পাড় হয়। বানরের ছড়া পারাপারের এই দৃশ্য দেখতে পায় এই জনপদের মানুষ।  এই সময় থেকে এই জায়গাটির পরিচিতি লাভ করে "ম্যাঅকছি ছড়া " হিসাবে । অর্থ্যাৎ মার্মা ভাষায় ম্যাঅক অর্থ  বানর  আর ছিঃ অর্থ বাঁধ । কালের প্রবাহে বাংলা ভাষাভাষির সাধারণ উচ্চারণে এই এলাকার নাম রুপ লাভ করে বান্দরবান হিসাবে ।  বর্তমানে সরকারি দলিল পত্রে বান্দরবান হিসাবে এই জেলার নাম স্থায়ী রুপ লাভ করেছে। তবে মার্মা ভাষায় বান্দরবানের প্রকৃত নাম "রদ ক্যওচি ম্রো"।

 

 


বোমাং সার্কেল এবং বান্দরবান

পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন ১৯০০ অনুসারে পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা তিনটি সার্কেল এ বিভক্ত করা হয়-বান্দরবান জেলা বোমাং সার্কেল এ অর্ন্তভুক্ত করা হয়। বান্দরবান এবং তৎসংলগ্ন এলাকা সমূহে বোমাং রাজ পরিবার দীর্ঘদিন তাঁদের রাজ্য পরিচালনা করতেন এবং ইংরেজ সরকারের নিকট খাজনা প্রদান করে আসছিলেন। প্রকৃত পক্ষে প্রথম বোমাং রাজা ছিলেন কং হ্ল (১৭১০) । বান্দরবান শহরের অনতি দুরে সুয়ালক নদীর তীরে তাঁর একটি কাঠের তৈরী রাজবাড়ি ছিলো। প্রথম বোমাং চীফ মারা যাওয়ার পর তার পুত্র সা থাং প্রূ রাজত্ব লাভ করেন। তিনি দীর্ঘদিন রাজত্ব করার পর পরবর্তী বোমাং রাজা হিসেবে কং হ্ল ঞ্চো তাঁর ভাতুষ্পুত্র দায়িত্ব পালন করেন। ১৯০০ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন অনুসারে বোমাং সার্কেল চীফ কে খাজনা আদায় এবং এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব প্রদান করা হয়। তৎকালীন সময়ে বোমাং চীফ ছিলেন চ হ্ল প্রু। বোমাং সার্কেলে ১০৯টি মৌজা রয়েছে। প্রত্যেক মৌজার জন্য একজন হেডম্যান রয়েছে। বান্দরবান মারমা সমাজ হেডম্যানকে রোয়াজা বলে থাকে। বোমাং চীফ খাজনা আদায় এবং এলাকার গোত্রীয় বিরোধ মীমাংসা এবং  হেডম্যানদের সহযোগিতা করে থাকেন। বর্তমান বোমাং চীফ মিঃ অং শৈ প্রু চৌধুরী ১৯৯৯ সালে বোমাং রাজা হিসেবে অভিষিক্ত হন।

 

 

জেলা রূপে আবির্ভাব

 

 

বৃটিশ শাসন আমলে ১৮৬০ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামকে জেলা ঘোষণা করা হয়। তৎকালীন সময়ে বান্দরবান পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলার অধীন ছিলো। ক্যাপ্টেন মাগ্রেথ ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলার প্রথম সুপারিনট্যানডেন্ট। ১৮৬৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলার সুপারিনট্যানডেন্ট পদটির কার্যক্রম আরও বিস্তৃত করা হয় এবং ১৮৬৭ সালে এই পদটির নামকরণ করা হয় ডেপুটি কমিশনার। পার্বত্য চট্ট্রগাম জেলার প্রথাম ডেপুটি কমিশনার ছিলেন টি, এইচ লুইন। ১৯০০ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন অনুসারে পার্বত্য চট্টগ্রামকে তিনটি সার্কেলে বিভক্ত করা হয়-চাকমা সার্কেল, মং সার্কেল, এবং বোমাং সার্কেল। প্রত্যেক সার্কেলের জন্য একজন সার্কেল চীফ নিযুক্ত ছিলেন। বান্দরবান তৎকালীন সময়ে বোমাং সার্কেলের অর্ন্তভুক্ত ছিলো। বোমাং সার্কেলের অন্তর্ভূক্ত হওয়ার কারণে এই জেলার আদি নাম বোমাং থং।

 


বান্দরবান জেলা ১৯৫১ সালে মহকুমা হিসেবে প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু করে। এটি রাংগামাটি জেলার প্রশাসনিক ইউনিট ছিলো। পরর্বতীতে ১৯৮১ সালের ১৮ই এপ্রিল, তৎকালিন লামা মহকুমার ভৌগলিক ও প্রশাসনিক সীমানাসহ সাতটি উপজেলার সমন্বয়ে বান্দরবান পার্বত্য জেলা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে।

 

 

উপজেলা ও ইউনিয়ন

 

ক্রম

উপজেলা

 

ইউনিয়ন

 

০১

বান্দরবান সদর

 

বান্দরবান ইউনিয়ন, কুহালং, সুয়ালক টংকাবতী, রাজবিলা

 

০২

লামা

 

আজিজনগর, লামা, গজালিয়া, সরই, রুপসীপাড়া, ফাসিঁয়াখালী, ফাইতং

 

০৩

আলীকদম

 

আলীকদম, চৈক্ষ্যং

 

০৪

নাইক্ষংছড়ি

 

নাইক্ষ্যংছড়ি, বাইশরী, দোছড়ী, ঘুমধুম

 

০৫

রুমা

 

পাইন্দু, রুমা সদর, রেমাক্রী প্রাংসা, গালেংগ্যা

 

০৬

রোয়াংছড়ি

 

রোয়াংছড়ি, তারাছা নয়াপতং, আলেক্ষ্যং

 

০৭

থানছি

 

থানছি, রেমাক্রী, তিন্দু

 

 

 (তালিকা)

জেলারঐতিহ্য

জেলার ঐতিহ্য

পার্বত্য চট্টগ্রামে মোট ১১টি নৃতাত্ত্বিক জাতিগোষ্ঠীর বসতি রয়েছে। এরা হচ্ছেন মারমা, চাকমা, মুরং, ত্রিপুরা, লুসাই, খুমি, বোম, খেয়াং, চাক, পাংখো ও তংচংগ্যা । এদের সকলেই বান্দরবান জেলায় বসবাস করেন। এ জেলায় বসবাসরত নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠির রয়েছে আলাদা আলাদা ভাষা ও সংস্কৃতি। এদের অনেক রীতিনীতি, কৃষ্টি, সামাজিক জীবনাচার ও গৌরবময় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে মহামান্বিত ও বৈচিত্র্যময় করেছে। নিম্নে এ জেলার কয়েকটি গুরত্বপূর্ন ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠানের বর্ণনা দেয়া হলোঃ

১। রাজ পূন্যাহ্ 

 

 

এঅঞ্চলের প্রাচীন প্রথাগত কর আদায় অনুষ্ঠান। এই দিনে রাজা আনুষ্ঠানিকভাবেরাজসিংহাসনে আরোহন করেন। এ সময় দূরদূরান্ত থেকে প্রজা সাধারণ এসে তাদেরজুমে উৎপাদিত হরেক রকম পন্য সামগ্রী উপঢৌকন হিসাবে রাজার সামনে সমর্পণ করেরাজার আশীর্বাদ গ্রহণ করেন।

 

২। সাংরাই

 

 

বৈশাবী উৎসব

(মারমাদের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান)

 

 

৩। প্রবারণা পূর্ণিমা

 

প্রবারণা পূর্ণিমার দিনে মূলত  বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী লোকেরা ধর্মীয় আচার  অনুষ্ঠানের পাশাপাশি ফানুষ উড়ায়।

 

৪। মার্মা উপজাতিদের রথটানা অনুষ্ঠান।

 

 

 

রথটানা অনুষ্ঠান

 

 

৫। উপজাতি জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী নৃত্য

জুমনৃত্য

মারমানৃত্য

ম্রোনৃত্য

 

 

পুরাকীর্তির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা

 

ভাষা ও সংস্কৃতি

পার্বত্য চট্টগ্রামে মোট ১১টি নৃতাত্ত্বিক জাতিগোষ্ঠীর বসতি রয়েছে। এরা হচ্ছেন মারমা, চাকমা, মুরং, ত্রিপুরা, লুসাই, খুমি, বোম, খেয়াং, চাক, পাংখো ও তংচংগ্যা । এ ১১টি জাতিগোষ্ঠির বসবাস  রয়েছে  একমাত্র বান্দরবান জেলাতে।  বান্দরবান জেলায় বসবাসকারী উপজাতী জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংখ্যা গরিষ্ঠ সম্প্রদায় হলো ‘‘মারমা’’। তাদের সংখ্যা ৭৫,৮৮০জন। তারা মূলতঃ ম্রাইমা নামে বার্মা হতে এসে বসতি স্থাপন করেছে অত্র এলাকাতে। 

বোমাংচিফএরবাৎসরিককরআদায়অনুষ্ঠান(রাজপূন্যাহ্)

 

বান্দরবানের ২য় বৃহত্তর উপজাতি জনগোষ্ঠী মুরং(ম্রো)সম্প্রদায়। তাঁদের সংখ্যা ২৮,১০৯ জন। তাঁরা বার্মার আরাকান রাজ্য হতে অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষের দিকে খুমীদের সাথে প্রচন্ড সংঘর্ষে পরাজিত হয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের দক্ষিণাঞ্চলে এসে বসতি গড়ে তোলে। এ জেলায় ৩য় বৃহত্তর জনগোষ্ঠী হল ত্রিপুরা। তাঁদের সংখ্যা ১০,৪৭৮ জন। যদিও খাগড়াছড়িতে তাঁদের সংখ্যা বেশি। ত্রিপুরারা মঙ্গোলীয় বংশোদ্ভূত। তাদের আদি নিবাস ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে। এ জেলায় তংচংগ্যাজনগোষ্ঠীর সংখ্যা প্রায় ৭,০০০ জন। তংচংগ্যা সমাজ চাকমাদের একটি উপশাখা হলেও তাঁরা তা অস্বীকার করে নিজেদের পৃথক জাতীসত্ত্বারূপে মনে করে। এ ছাড়া বান্দরবানে বসবাসরত অবশিষ্ট ০৬টি উপজাতির সংখ্যা মোট ১৪,৩৮৯ জন। তন্মধ্যেলুসাইজাতিগোষ্ঠী প্রায় ১৫০ বছর আগে ভারতের মিজোরাম হতে পার্বত্য চট্টগ্রামে এসে বর্তমান রাঙ্গামাটি জেলার সাজেক এলাকায় কেন্দ্রিভূত হয়। খুমীরাসপ্তদশ শতাদ্বীর শেষের দিকে মায়ানমারের আরাকান অঞ্চল হতে আসে। বোমরাসংযুক্ত জাতি। তাদের আদি নিবাস বার্মার ইরাবতী ও চীনদুইন নদীর মধ্যবতী এলাকায়।

 

এ অঞ্চলের ইতিহাসে জানা যায় ১৮৩৮-৩৯ সালের দিকে তাঁরা এ অঞ্চলে আসে। খিয়াংরাঅষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে এ এলাকায় আসে। তাঁরা আরাকানের উমাতাং অঞ্চলে বসবাস করত। চাকরাআরাকান থেকে এ অঞ্চলে আসে। এদের আদীবাস চীনের যুনান প্রদেশে। পাংখোরাভারতের লুসাই পাহাড় ও মিজোরাম হতে এ অঞ্চলে আসে। ইতিহাস বলে যে, পার্বত্য চট্টগ্রামের অধিকাংশ উপজাতিই এসেছে পাশ্ববর্তী দেশ বার্মা, চীন, ভারতের মিজোরাম ও ত্রিপুরা রাজ্য হতে। সে কারণে এ অঞ্চলের উপজাতিদের সাথে পাশ্ববর্তী রাষ্ট্রের উপজাতি বা আদিবাসীদেরও মিল পাওয়া যায়। ঐতিহাসিক তথ্য প্রমাণ থেকে জানা যায় যে, সুপ্রাচীন কাল থেকেই পার্বত্য এলাকায় অ-উপজাতীয় জনগণের বসতি ছিল, যদিও মোঘল সুবেদার শায়েস্তা খাঁর আমলে( ১৬৬৬) তাদের দৃপ্ত পদচারণা লক্ষণীয়। ১৭৬০ সাল পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম ছিল মোগল সম্রাটের অধীন। তখন চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামসহ গোটা এলাকাটির নাম ছিল ইসলামাবাদ। ১৫১৮ সালে বাংলাদেশ ভ্রমণকারী পর্তুগীজ বনিকের বর্ণনামতে পার্বত্য চট্টগ্রামে বাংলা ভাষাভাষীদের বসবাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। বর্তমানে এ জেলায় ৪৭% উপজাতি জনগোষ্ঠী এবং ৫৩% অ-উপজাতি জনগোষ্ঠীর বসতি রয়েছে।

 

আদিবাসিদের বৈশাবী উৎসব

 

১৯৪৭ সালে বৃটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের অবসান ঘটিয়ে ভারত বিভক্তি সম্পন্ন হয় এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম পাকিস্তানের অন্তর্ভূক্ত হয়। ১৯৫৬ ও ১৯৬২ সালের সংবিধানে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিশেষ এলাকার মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখা হলেও ১৯৬৩ সালে সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে উক্ত বিশেষ এলাকার মর্যাদা বাতিল করা হয়। ১৯৮৯ সালে তিন পার্বত্য জেলায় স্থানীয় সরকার পরিষদ গঠিত হয়। ১৯৯৬ সালে গঠিত জাতীয় কমিটি কর্তৃক উপজাতীয় নেতাদের সাথে বৈঠকের প্রেক্ষিতে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ জেলায় বসবাসরত নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠির রয়েছে আলাদা আলাদা ভাষা ও সংস্কৃতি। এদের অনেক রীতিনীতি, কৃষ্টি, সামাজিক জীবনাচার ও গৌরবময় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে মহামান্বিত ও বৈচিত্র্যময় করেছে। এক সময়ের প্রচলিত রাজ প্রথা ও রাজ পূণ্যাহ্ অনুষ্ঠান মূলত: এ জেলাতেই হয়ে থাকে।

 

দর্শনীয়স্থান

(অবস্থান, বর্ণনা, ছবি) আলাদা করে দেওয়া হল

প্রখ্যাতব্যক্তিত্ব

নাম-বীর বিক্রম ইউকেচিং, স্থান -বান্দরবান সদর

 অবদান-একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের ইতিহাসের এক স্মরণীয় অধ্যায়। বাংলাদেশের আপামর জনগণ এক হয়ে এই যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। পরাধীন দেশকে স্বাধীন করার ব্রত নিয়ে যাঁরা এই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিরেন তাঁদের একজন ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপজাতী ইউ. কে. চিং।

বিভিন্ন সংগ্রামে আমরা যেমন বিজয় ছিনিয়ে এনেছি তেমনি অনেক ক্ষেত্রে পরাজয়ের গ্লানিও স্বীকার করেছে। সেসব পরাজয়কে আমরা বিজয়ে পরিণত করতে পেরেছি ১৯৭১ সালে এক রক্তসাগর পাড়ি দিয়ে। আর সেই রক্তস্নাত ইতিহাসের একজন সৈনিক এবং জীবন্ত সাক্ষী উপজাতীয় মুক্তিযোদ্ধা ইউ. কে. চিং।

অসম সাহসী ছিলেন এই উপজাতী মুক্তিযোদ্ধা। ইপিআর-এর একজন সদস্য হিসাবে তাঁর বাঙালী ভাইদের সঙ্গে কাঁধে কাঁদ মিলিয়ে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। যুদ্ধ করেন ৮ নং সেক্টরে। বারংবার সম্মুখসমরে অবস্থান নিয়ে যু্দ্ধে অংশ নেয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাঁকে ‌‌''বীর বিক্রম'' উপাধিতে ভূষিত করেছেন। তিনি একমাত্র উপজাতী খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ ও উপজাতীয়দের গৌরব তথা বাংলাদেশের গৌরব।

 (নাম, জন্ম তারিখ ও স্থান , অবদান)

খেলাধুলাওবিনোদন

ক্রীড়াঃ

দেশের অন্যান্য জেলার মত বান্দরবান জেলায় বিভিন্ন ধরণের খেলাধূলার প্রচলন রয়েছে। খেলাধূলার জন্য একটি স্টেডিয়াম আছে। স্টেডিয়াটি বান্দরবান সদর উজেলায় অবস্থিত। এই স্টেডিয়ামে বাৎসরিক বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। বলি খেলাএ অঞ্চলের একটি অন্যতম জনপ্রিয় খেলা। ০৭টি উপজেলা নিয়ে জেলা সদরের স্টেডিয়ামে ফুটবল, ক্রিকেট প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় এবং বান্দরবানের জনগণ তা উপভোগ করে। নিম্নে বান্দরবান জেলায় প্রচলিত খেলাধূলার নাম দেয়া হল।

১। ফুটবল

২। ক্রিকেট

৩। ব্যাডমিন্টন

৪। দাবা

৫। হ্যান্ডবল

৬। টেবিল টেনিস

৭। ভলিবল

৮। ক্যরম

 

প্রাকৃতিকসম্পদ

পাহাড়বেষ্টিতবান্দরবানপার্বত্যজেলাপ্রাকৃতিকসৌন্দর্যেরলীলাভূমি।তবে এজেলায়এখনপর্যন্তউল্লেখযোগ্যকোনখনিজসম্পদআবিস্কৃতহয়নি।জেলায় প্রবাহমানঅসংখ্যছড়াওঝিরিতেপাথরভেসেআসে, যাএঅঞ্চলেরউন্নয়ন কার্যক্রমেব্যবহৃতহয়।(খনিজ/বনজ/অন্যান্য সম্পদের বর্ণনা)

নদ-নদী

০৩টি (সাংগু, মাতামুহুরী এবং বাকখালী)

ব্যবসা-বাণিজ্য

 

হোটেলওআবাসন

 

যোগাযোগব্যবস্থা

 

পত্রপত্রিকা

 

হাটবাজার

 

জাতীয় সংসদ সদস্য

(নাম, ছবি, ফোন এবং অন্যান্য তথ্য)

বিশেষ অর্জন